Shoshur Barite Eid | শ্বশুর বাড়িতে ঈদ

Download (1080p)

Download (720p)

Download (480p)

নাটকের নাম : শ্বশুর বাড়িতে ঈদ
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: মহিন খান
অভিনয়ে; নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে, তারিক আনাম খান, সাবেরি আলম, সিদ্দিক মাস্টার, তানিয়া বিনতে মাহেক, শুভজিৎ রায়, আফতাব আহমেদ, শোশোব আমিরি, করিম ভুঁইয়া ও আরো অনেকে।

REVIEW

মহিন খান কর্তৃক পরিচালিত খুবই হাঁসির একটি নাটক হলো “শ্বশুর বাড়িতে ঈদ”। ঈদের পরের দিন আমি নাটকটি দেখেছিলাম। ঈদ উপলক্ষে তারা নাটকটি তৈরী করেছে। আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে,যারা কৃপণের ঘরের কৃপণ। যারা অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও নিজের ফেমিলিরে জন্য,নিজের ছেলে-মেয়ে স্ত্রীর জন্য অর্থ খরচ করে না। অর্থ জমিয়ে সুদে টাকা ধার দেয়। আর যাকাত ফেতরা কি বিষয় সেটা বুঝতেই চাই না। তারা গোপনে টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ জমিয়ে রাখে। এমনি কি নিজের মেয়ের জামাইকে পর্যন্ত আপ্যায়ন করে না। সমাজের এমনই একটি বিষয় ফুটিয়ে তুলে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।



নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে। নিলয়ের নাটক আবার কয়েক বছর যাবৎ প্রচুর পরিমানে দর্শক চাইছে। নাটকটি রিলিজ হয়েছে মাত্র দশ দিন হয়েছে। নাটকটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় পনের মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পড়ছে। আর হিমে নিলয়ের সাথে ভালোই জুটি ধরেছে। প্রায় দুই থেকে তিনশোর মত নাটক দুই জন মিলে করেছে। আজকের নাটকটি তে তাদের অভিনয় চোখের পড়ার মত। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখলে বিষয়টা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।

নাটকটির শুরুতেই দেখা যায় নিলয় আর তার বউ হিমে দুইজন একটি ভ্যান গাড়িতে চড়ে শ্বশুর বাড়িতে আসতেছিলো। তারা দুই জন প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করলেও ঈদ উপলক্ষে শ্বাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করে ঈদ করতে শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছে। ভ্যানের চালক তাদেরকে জিঙ্গেস করে তারা কোথায় যাবে। নিলয় বলে তারা মন্ডল পাড়ায় কাশেম মন্ডলের বাসায় যাবে। কাশেম মন্ডল তার শ্বশুর হয়। একথা বলার সাথে সাথে ভ্যান চালক তাদেরকে ভ্যান থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। কারন কাশেম মন্ডল অনেক কৃপণ লোক,সে ভ্যানে চড়ে কখনো ভাড়া দেয় না। তাই তার জামাইও কৃপণ হবে,সেই চিন্তা করে ভ্যান চালক তাদের বাসায় না নিয়ে রাস্তা নামিয়ে চলে যায়। অবশেষে হিমের বাধাঁ সত্বেও নিলয় তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। তবে মেয়ে ও জামাইকে দেখে কৃপন শ্বশুর খুবেই বিরক্ত হয়। আবার এখানে ঈদ করবে,তাহলে অনেক অর্থ খরচ হয়ে যাবে। সেই টেনশনে তার ঘুম হারাম হয়ে যায়।

রাতের বেলা সেহরির সময় সবাই সেহরি খেতে আসলেও নিলয়ের কৃপন শ্বশুর সেহরি খেতে আসে না। কারন তিনি বুকের ব্যাথার কারনে রোজা রাখেন না। কিন্তুু নিলয় সেটা মানতে নারাজ। সে তার শ্বশুরকে সেহরী খেতে রিকুয়েষ্ট করে। কিন্তুু কৃপণ শ্বশুর বিভিন্ন বায়না ধরে। ফলে নিলয় বলে ঠিক আছে আমি মসজিদের মাইক দিয়ে এলাকাবাসি সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে আপনি মসজিদ মাদ্রারসার সভাপতি হয়েও রোজা রাখেন না। এই কথা শুনার পরে শ্বশুর বলে ঠিক আছে,ঠিক আছে আমি সেহরি খেতে যাচ্ছি। আর আমি রোজাও রাখবো। খুবই হাঁসির একটি দৃশ্য ছিল।

দিনের বেলা নিলয়ের শ্বশুর অনেকবার চেষ্টা করে রোজা ভাঙ্গার জন্য। তবে জামাইয়ের কারনে রোজা ভাঙ্গতে পারে না। অনেক কষ্ট করে কৃপণ শ্বশুর রোজা রাখে। ঈফতারির সময় জামাই শ্বাশুড়ি মিলে অনেক প্রকারের ইফতারের আয়োজন করে। সেই ইফতারি দেখে শ্বশুর বেচারা প্রথমে রাগ করে। তবে শেষে শর্তের বিনিময়ে অধিক পরিমানে ইফতার খায়। পরের দিন নিলয় তার শ্বশুরের একটি গরু বিক্রয় করে মাইক দিয়ে গ্রামবাসি সবাইকে ইফতার খাওয়ার দাওয়াত দেয়। সেটা দেখে তার শ্বশুরের কান্না থামায় কে। আবার ইনকাম টেক্সের লোকের ভয় দেখিয়ে মানুষকে যাকাত দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এমন অনেক দৃশ্য রয়েছে এই নাটকটিতে। কেউ যদি নাটকটি দেখতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে,দেখতে পারেন।

নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-

আজকের নাটকের মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমাজের কয়েকটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সমাজে অনেক মানুষ আছে,যাদের অর্থ সম্পদের অভাব নেই। শুধু একটি বড় মনের অভাব। তারা ইচ্ছা করলে এলাকার গরীব মানুষদের ইফতার করাতে পারে,তারা যাকাত,ফিতরা দিতে পারে। তাদের উপর যাকাত ফরজ। তারপরও কৃপণরা কৃপনতা করে নিজের অর্থ সম্পদ লুকিয়ে রাখে। গরীবের হক আদায় করে না। এমনকি নিজের পরিবারের জন্যও ঠিক ভাবে অর্থ খরচ করে না। পরে দেখা যায় তাদের শেষ জীবনে জমিয়ে রাখা অর্থ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। চোরে ডাকাতে নিয়ে যায়। অর্থ সম্পদ রেখে মারা যায়। নিজের অর্থ নিজেও ভোগ করতে পারে না। আবার অন্যকেও ভোগ করতে দেয় না। আশা করি সবার এমন মন-মানুষিকতা থেকে বের হয়ে আসবে।